Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

ছবি
শিরোনাম
পদ্মা নদী,
বিস্তারিত
কিভাবে যাওয়া যায়: 
চারঘাট উপজেলা থেকে ভ্যান  যোগে যাওয়া যায়।

পদ্মা নদী বাংলাদেশের প্রধান নদী। এই নদী দিয়ে পৃথিবীর যে কোন দেশে যাতায়াত করা যায়।

 

গতিপ্রকৃতি

হিমালয়ের গঙ্গোত্রী হিমবাহ থেকে থেকে উৎপন্ন গঙ্গা নদীর প্রধান শাখা চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলায় (মানাকোসা ও দুর্লভপুর ইউনিয়ন) বাংলাদেশে প্রবেশ করে,এখান থেকে নদীটি পদ্মা নাম ধারণ করেছে। গঙ্গার অন্য শাখাটি ভগীরতি নামে ভারতে হুগলীর দিকে প্রবাহিত হয়। উৎপত্তিস্থল হতে ২২০০ কিলোমিটার দূরে গোয়ালন্দে যমুনা নদীর সাথে মিলিত হয়ে মিলিত প্রবাহ পদ্মা নামে আরো পূর্ব দিকে চাঁদপুর জেলায় মেঘনা নদীর সাথে মিলিত হয়েছে। সবশেষে পদ্মা-মেঘনার মিলিত প্রবাহ মেঘনা নাম ধারণ করে দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের সাথে মিলিত হয়

 

দৈর্ঘ্য

পদ্মা বাংলাদেশের ২য় দীর্ঘতম নদী,এর দৈর্ঘ্য ৩৬৬ কিলোমিটার।

 

দেশের অন্যতম প্রধান নদী পদ্মা। এর সাথে এতদঞ্চলের মানুষের অনেক সুখ দুঃখের লোক গাঁথা জড়িত রয়েছে। পদ্মার কড়াল গ্রাসে যেমন বিলীন হয়েছে অনেক মানুষের সহায় সম্বল তেমনি একে কেন্দ্র করে বিভিন্ন জীবিকা নিবার্হ করছে অনেক মানুষ। নদীটি এতদঞ্চলের কৃষি,জীব বৈচিত্র ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এ ছাড়া পর্যটক সহ তরুন তরুনীরা বিনোদনের উদ্দেশ্য নৌকায় বিচরণ করে থাকে।

 

“বাংলাদেশের মানুষের মনের সংস্কার কিন্তু ভাগীরথীকেই গঙ্গার প্রধান প্রবাহ খাত বলে মনে করে। হিন্দু সভ্যতায় গঙ্গা মাহাত্ম্যের প্রচারণা এই ভাগীরথীকেই গঙ্গা বলে প্রচার করেছে। উইলকক্স সাহেবের পরবর্তী বহু ঐতিহাসিক ও ইঞ্জিনিয়ারেরাও ১৯২৮ খৃস্টাব্দের পর বলতে চেয়েছেন, ভাগিরথীই গঙ্গার প্রথম মুখ্য খাত।

“কিন্ত ভূতাত্ত্বিকদের গবেষণা ভাগিরথীর গঙ্গার প্রধান খাত হওয়া সম্বন্ধে সন্দেহ আনে। তারা বলেন, ভাগীরথী-হুগলীর নিম্নাংশ প্রথম থেকেই সমুদ্রের খাঁড়ি ছিল। উত্তর-পশ্চিম প্রদেশে  ও বিহারের গাঙ্গেয় উপত্যক্যায় এবং পশ্চিমবঙ্গের আধুনিক গাঙ্গেয় পলিস্তরের নিচে যে হরিদ্রাভ লাল কংকর প্রস্তর মিশ্রিত মৃত্তিকার সন্ধান পাওয়া গিয়েছে, তা থেকে প্রতীয়মান হয়, হিমালয় পর্বত থেকে আজকের এই বিপুলায়তন গঙ্গা সম্পূর্ণ অবতরণ করবার আগে এখানকার সাগরগর্ভ মধ্যপ্রদেশ ও ছোটনাগপুরের পার্বত্য উপত্যক্যায় উৎপন্ন প্রাচীন বিশালায়তন নদীর জলধারায় বাহিত পলির দ্বারাই পূর্ণ হয়েছিল। দামোদর প্রভৃতি প্রাচীন সংস্করণ নদ-নদীর পলি দিয়েই পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান ভাগীরথী উপত্যক্যার নিম্নতম স্তর গঠিত। সুতরাং গঙ্গা অবতীর্ণ হয়ে প্রথমেই বর্তমান পদ্মার প্রবাহপথে প্রবাহিত হত, অথবা ভাগীরথীর পথে প্রবাহিত হত, সে সম্বন্ধে নিশ্চিত হতে গেলে সমস্ত গঙ্গা-পদ্মা ও ভাগীরথীর খাতে গভীর নল পুতে ওই হরিদ্রাভ লাল মাটির ঢাল (slope) পরীক্ষা করতে হবে।”

“পদ্মাকে গঙ্গার প্রধান খাত হিসেবে মেনে নিতে বৈজ্ঞানিক কোন অসুবিধাই হয় না” এই মতে দৃঢ় থেকে কপিল ভট্টাচার্য ভৌগোলিক ঢালের গঠনগত কারণও স্পষ্ট করেন: “বাংলা দেশের গঙ্গার ব-দ্বীপের উচ্চাবচকতা নিদর্শক মানচিত্র (রিলিফ ম্যাপ) দেখলে বোঝা যায়, গঙ্গা থেকে ভগীরথীর উৎপত্তি স্থানটিই সর্বোচ্চ, এবং ভাগীরথী অপেক্ষাকৃত উচ্চভূমি দিয়েই প্রবাহিত হচ্ছে, এর পূর্বদিকস্থ নিম্নাঞ্চলের দিকে ধাবিত হয়নি। ভগবানগোলা থেকে সুন্দরবনের বিদ্যাধরী নদীর মোহনা পর্যন্ত যদি একটি সরল রেখা টানা যায়, তা হলে এই সরল রেখার পশ্চিমের ভূভাগ ক্রমশঃ পশ্চিম দিকে উঁচু হয়ে ছোটনাগপুরের মালভূমিতে মিশেছে। আর ওই সরল রেখা থেকে পূর্বে ভূভাগ ক্রমশঃ ঢালু হয়ে গিয়েছে মধ্যবঙ্গে। ফরিদপুর, বরিশাল, খুলনা প্রভৃতি জেলা নিম্নতম ভূমিতে অধিষ্ঠিত, তারপর ভূমি আবার পদ্মা-মেঘনার পূর্বপারে ক্রমশঃ উচু হয়ে ত্রিপুরা-চট্টগ্রামের পর্বতে উঠেছে। গঙ্গা-পদ্মার স্বাভাবিক প্রবাহ যে নিম্নের দিকেই, বর্তমান খাতের কাছাকাছি পথ অবলম্বন করে গিয়েছিল, সে বিষয়ে সন্দেহ করবার কারণ কি?”

 

উইলকক্স এর সাথে অবশ্য কপিল ভট্টাচার্য একটি বিষয়ে গুরুতর ভিন্নমত জানান, সেটি ভাগীরথী খননের উদ্দেশ্য বিষয়ক। উইলককস এর মতে ভাগীরথী খনন হয়েছিল সেচের উদ্দেশ্যে, কপিল ভট্টাচার্য তা অসম্ভব মনে করেন।  পৌরানিক সাহিত্যে বৃষ্টির আশায় যজ্ঞাদির কথা বলা থাকলেও সেচকার্যের জন্য খালের উল্লেখ কোথাও নেই; আল, বাধ প্রভৃতির উল্লেখ আছে বৃষ্টির জল কৃষিভূমিতে ব্যবহার উপলক্ষে। এবং সে যুগের জনসংখ্যার ঘনত্ব, ধান চাষের ধরন প্রভৃতির বিবেচনায় এই যুক্তি কিছুটা গ্রহণযোগ্যও বটে। নদীখননের পেছনে সেচকার্যের বিকল্প কারণ হিসেবে কপিল বরং অনুমান করেন “ভগিরথী নদী খননের প্রধান কারণ ছিল গঙ্গা নদীর নাব্যতা রক্ষা করা। ভগীরথ ভাগীরথী খালটি গঙ্গার ধারা থেকে কেটে দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের ছোটনাগপুরের উপত্যক্যায়  উৎপন্ন নদীর ইতিমধ্যেই মজাখাতগুলি অবলম্বন করে সমুদ্রের খাড়ির সঙ্গে সংযুক্ত করে দিয়েছিলেন সমুদ্র যাত্রাপথের দীর্ঘতা হ্রাস করার জন্য। পূর্ববঙ্গের সমতটভূমি দুর্ধর্ষ অনার্যদের বাসভূমি ছিল, আর্য রাজারা ওই দেশ পরিহার করেই চলতেন। বর্তমান চব্বিশ পরগণা, হাওড়া ও মেদিনীপুর জেলা কপিলের রাজ্য ছিল, ভগিরথ তাকে সন্তুষ্ট করে তার বন্ধুতার সাহায্যে পৌর্তিক কাজ শেষ করতে  পেরেছিলেন। এত বড় পৌর্তিক কাজের মাহাত্ম্য কীর্তিত হবে, তাতে আর আশ্চর্য কি আছে?”

এই ‘পৌর্তিক কাজ’ এর অনুমান যদি সঠিক হয়, তবে আবার অন্য একটি জটিলতা তৈরি হয় দীনেশচন্দ্র-নীহাররঞ্জন এর অনুমানের সাথে, কেননা কপিল ভট্টাচার্যের অনুমানে তো পদ্মা আগে থেকেই অস্তিত্বশীল। পদ্মা ধরে সমুদ্রগামী না হবার কারণ সেক্ষেত্রে পদ্মার অস্তিত্বহীনতা নয়, তার ভাষায় ‘দুর্ধর্ষ অনার্যদের আবাস’। এখানে একটি কথা বলে রাখা দরকার, আর্য-অনার্যের এই বিভাজনটির অর্থ কিছুটা বদলে হাল আমলে তা নৃতাত্ত্বিক পরিচয়ের বদলে সংস্কৃতিগত পরিচয়ে রূপ পেয়েছে। প্রথম যুগের ভারততত্ত্ববিদদের মত এখন আর বর্ণ ও জাতিভেদের অনড় অচল কাঠামোতে প্রাচীন সমাজকে বোঝার চেষ্টা করা হয় না, পুরনো ধারণা মোতাবেক এক একটা আস্ত নতুন জাতিকে বর্ণপ্রথায় নীচু শ্রেণীতে অন্তর্ভূক্ত করে ফেলার ব্যাখ্যা গ্রহণ না করার কারণ অজস্র বিপরীত উদাহরণ, যেখানে অন্তুর্ভূক্ত নতুন জাতিগোষ্ঠীর উচ্চশ্রেণীকে বিশেষকরে ক্ষত্রিয় শ্রেণীতে অন্তুর্ভূক্ত করা হয়েছে এবং একই জাতিভুক্ত বাকিরা বৈশ্য বা শুদ্রের মর্যাদা পেয়েছে। এ বিষয়ে আগ্রহীরা রোমিলা থাপার এর  ফ্রম লাইনেজ টু স্টেট গ্রন্থটির সাহায্য নিতে পারেন।  আবার, নগরের উদ্ভব, বাণিজ্য প্রভৃতির বিকাশ অজস্র অসবর্ণ বিবাহেরও ভিত্তি নির্মাণ করে। আরও অসংখ্য কারণে বহুক্ষেত্রেই বর্ণবিভাজনকে অটুট রাখা যায় নি।  এমনকি বৌদ্ধ ধর্মের উদ্ভব যে এই বর্ণব্যবস্থা শিথিলতর হয়ে যাওয়অ সমাজেই ঘটেছিল, সে বিষয়ক ধারণা গঠনে কোসাম্বী যুগান্তরকারী ভূমিকা রেখেছেন তার ভগবান বুদ্ধের জীবনীগ্রন্থটিতে । ক্রমরূপান্তরিত এই বৈদিক সভ্যতা ক্রমশ বর্তমান বিহার, উরিষ্যা, পশ্চিমবঙ্গকে অভিভূত করে দক্ষিণ পুব দিকে অগ্রসর হচ্ছিল, এবং এই সময় নাগাদ পূব বাঙলায় কিছু বিচ্ছিন্ন বৈদিক প্রভাবিত হিন্দু, বৌদ্ধ বসতি, রাজবংশ ইত্যাদি থাকলেও সাধারণ ভাবে দেশের পূর্বাংশের অধিকাংশটিই অনাবাদী ছিল, অপরপক্ষে পশ্চিমাংশ ইতিমধ্যেই বৈদিক প্রভাবিত জনগোষ্ঠী ও সমাজব্যবস্থা শক্তিশালী হতে শুরু করেছে।

 

যাহোক, পদ্মা গঙ্গার আদি প্রবাহ নয়, সে বিষয়ে উইলকক্স এর সিদ্ধান্ত কে প্রশ্নবিদ্ধ করেন প্রকৌশলী এস সি মজুমদার। কপিল ভট্টাচার্যের বয়ানে “পদ্মার চেয়ে ভাগীরথীর প্রাচীনতা প্রমাণের জন্য শ্রীমজুমদার তাঁর নিজস্ব একটি বৈজ্ঞানিক ‘যুক্তি’র অবতারণা করেছেন: পদ্মা-মেঘনার দিকের অপেক্ষা ভাগীরথীর দিকে গঙ্গার ব-দ্বীপ বঙ্গোপসাগর অভিমুখে দৈর্ঘ্যে বড়।” কিন্তু মজুমদার এর এই যুক্তি কপিল মেনে নেননি এই কারণে যে “বর্তমান ভাগীরথী-হুগলির দিকে গঙ্গার ব-দ্বীপ সৃষ্টিতে দামোদর, রূপনারায়ণ, কাঁসাই প্রভৃতি বহু প্রাচীন নদ-নদীর হাত রয়েছৈ। সত্য বটে তাদের অববাহিকা গঙ্গার তুলনায় অনেক ছোট, কিন্তু এরা পৃথিবীর প্রাচীনতম ভূখ- ছোটনাগপুরের পার্বত্য অঞ্চল থেকে উদ্ভূত হয়েছে এবং লক্ষ লক্ষ বছর ওই অঞ্চলকে ক্ষয়িত করে বঙ্গোপসাগরে মাটি ফেলেছে। তারা যখন কাজ করেছে, তখনও হিমালয়ের জন্ম হয়নি। জন্মগ্রহণ করে হিমালয়ের পর্বতশৃঙ্গোর তুষার জমে উঠতেও বহুশত বছর লেগেছে, তারপর সেই সব গলিত তুষারের জল ক্রমশঃ হিমালয়ের প্রস্রবণ ও নদীগুলির সৃষ্টি করেছে। গঙ্গা-যমুনা-ঘর্ঘরা-কুশীর জন্ম হয়েছে আরও পরে।

“পরবর্তী যুগে ভাগীরথীর সৃষ্টির পর, সেই পূর্বতন ব-দ্বীপের উপরে ভাগীরথীর পলি পড়েছে। ... সুতরং এদিকে গঙ্গার দৈর্ঘ্য বৃদ্ধিতে ভাগীরথী-হুগলির যতটা হাত ছিল বলে শ্রী মজুমদার ধরে নিয়েছেন, তা ঠিক নয়।” তিনি দেখিয়েছন, নানান নৈসর্গিক বৈশিষ্টের কারণেও মেঘনা-পদ্মার মুখের অঞ্চলে বদ্বীপের দৈঘ্য বাড়েনি। এমনকি সমুদ্রস্থিত পলিমঞ্চের ধ্বসের ফলেও পূর্বাংশে বদ্বীপের আকৃতি হ্রস্বকায় হয়েছে বলে কপিল উল্লেখ করেছেন। বরিশাল জেলার ইতিহাস নামের গ্রন্থেও এই পলিমঞ্চের পতনের কারণে সাগরের ’গান’ বলে কথিত শব্দের উল্লেখ আছে, যদিও আজকাল আর এই শব্দ শোনা যায় না। কিন্তু সমুদ্রগর্ভে বদ্বীপের আকার দিয়ে কেন নদীর পলি সঞ্চয়ের প্রাচীনত্ব মাপা যাবে না, তার পক্ষে চূড়ান্ত যে যুক্তিটি কপিল ভট্টাচার্য দিয়েছেন, সেটিও ভাববার মতই একটি ভৌগোলিক পর্যবেক্ষণ।

“ভারত মহাসাগরের অন্তর্গত বঙ্গোপসাগর, মার্তাবান সাগর ও শ্যাম সাগরে গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র, ইরাবতী-সিটাং ও মেনাম-চাও-ভ্রায়া নদীর মোহনাগুলির মানচিত্র একটু নিবিষ্টভাবে দেখলে একটি বিষয়ে তাদের সামঞ্জস্য লক্ষ্য করা যায়। তিনটি মোহনারই পূর্ব দিকের অংশে ব-দ্বীপ পশ্চিম দিকের অংশের চেয়ে ভূখ-ের অভ্যন্তরে বেশী দূর ঢোকানো। আমার মনে হয়, যুগ যুগ ধরে জোয়ারের জলের দৈনন্দিন দুই বারের ক্রিয়া তাদের তিনটিকেই এই এক রকম আকৃতি দিয়েছে। পৃথিবী তার মেরুদ-ে পশ্চিম থেকে পূর্বে ঘোরে, কাজেই জোয়ারের গতি পূর্ব থেকে পশ্চিমে। তাই পূর্বের ব-দ্বীপের মুখ ভেঙে এনে সমুদ্রের জল ব-দ্বীপের পশ্চিমাংশে মুখের বৃদ্ধি সাধন করে। তাই পশ্চিমাংশে সাগর দ্বীপ প্রভৃতি গঙ্গার মোহনার দ্বীপগুলি পূর্বাংশের সন্দ্বীপ, হাতিয়া প্রভৃতি দ্বীপের চেয়ে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতর।”

এভাবে কপিল ভট্টাচার্যের যুক্তি অনুযায়ী বাংলা বদ্বীপের পশ্চিমাংশের ভূমি গঠিত হয়েছে গঙ্গা নদীরও জন্মের পূর্ববর্তী ছোটনাগপুর বিধৌত নদীসমূহ দিয়ে এবং পশ্চিমাংশের সমুদ্রঅভ্যন্তরে বেশিদূর বৃদ্ধি ভাগীরথী শাখার প্রাচীনত্বের কারণে অতিরিক্তকাল পলিসঞ্চয় নয়। পশ্চিমাংশের ভূভাগ প্রাচীন বটে, তবে তা ছোটনাগপুরের পাথুড়ে শিলাদ্বারা গঠিত, গঙ্গাবাহিত পলি দিয়ে প্রধানত গঠিত হয়েছে কেবল দ্বীপের পূবভাগেরই একটি অংশ।